‘নিরাপদ সড়ক নাগরিক অধিকার, বাস্তবায়নে প্রয়োজন সকলের অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনায় ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হয়েছে।
ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আজ (রবিবার) সকালে খুলনা নগরীর শিববাড়ি মোড়ে সমাবেশ, উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও ট্রাফিক সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।
শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে পুলিশ কমিশনার বলেন, গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। এই নিয়মগুলো অনুসরণ না করার ফলে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে হলে আমাদের ট্রাফিক আইন বিষয়ে সচেতনতা ও যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। ট্রাফিক আইন জানতে হবে। সড়কে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সামগ্রিকভাবে সামাজিক নিরাপত্তার জন্য এই কর্মসূচি শুরু হলো। নগরীর সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হবে। এছাড়া নগরীর মোড়ে মোড়ে সচেতনতামূলক পথসভা করা হবে।
শোভাযাত্রায় কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এ্যান্ড পটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন, উপপুলিশ কমিশনার রাশিদা বেগম, উপপুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) এমএম শাকিলুজ্জামান, উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম-সহ পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় শিক্ষার্থী, স্কাউট সদস্য, এনজিও প্রতিনিধি, সাধারণ শিক্ষার্থী, নিরাপদ সড়ক চাই এর সদস্য, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ট্রাফিক সপ্তাহ চলাকালে জনসাধারণের মাঝে রাস্তা পারাপারে জেব্রাক্রসিং ব্যবহার, মোবাইলের হেডফোন কানে দিয়ে রাস্তা পার না হওয়া, নির্দিষ্ট স্থানছাড়া গাড়ি পার্কিং না করা ও রাস্তার মোড়গুলোতে বাম লেন ব্লক না করার বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে। এছাড়া সড়কে অযথা হর্ন বাজানো, অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালানো, বাইকে দুই জনের বেশি আরোহনের মতো বেআইনি আচরণ বন্ধে সবাইকে সচেতন করা হবে।
পরে শিববাড়ি মোড় থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ট্রাফিক সপ্তাহ পালন উপলক্ষ্যে নগরীর শিরোমণি, দৌলতপুর, সোনাডাঙ্গা ও জিরোপয়েন্টে অনুরূপ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম